তোমরা আমায় নিন্দে ক’রে দাও না যতই গালি,
আমি কিন্তু মাখছি আমার গালেতে চুনকালি,
কোনো কাজটাই পারি নাকো বলতে পারি ছড়া,
পাশের পড়া পড়ি না ছাই পড়ি ফেলের পড়া।
তেতো ওষুধ গিলি নাকো, মিষ্টি এবং টক
খাওয়ার দিকেই জেনো আমার চিরকালের সখ।
বাবা‐দাদা সবার কাছেই গোঁয়ার এবং মন্দ,
ভাল হয়ে থাকার সঙ্গে লেগেই আছে দ্বন্দ্ব।
পড়তে ব’সে থাকে আমার পথের দিকে চোখ,
পথের চেয়ে পথের লোকের দিকেই বেশী ঝোঁক।
হুলের কেয়ার করি নাকো মধুর জন্য ছুটি,
যেখানে ভিড় সেখানেতেই লাগাই ছোটাছুটি।
পন্ডিত এবং বিজ্ঞজনের দেখলে মাথা নাড়া,
ভাবি উপদেশের ষাড়ে করলে বুঝি তারা।
তাইতো ফিরি ভয়ে ভয়ে, দেখলে পরে তর্ক,
বুঝি কেবল গোময় সেটা,— নয়কো মধুপর্ক।
ভুল করি ভাই যখন তখন, শোধরাবার আহ্লাদে
খেয়ালমতো কাজ ক’রে যাই, কষ্ট পাই কি সাধে?
সোজাসুজি যা হয় বুঝি, হায় অদৃষ্ট চক্র!
আমার কথা বোঝে না কেউ পৃথিবীটাই বক্র॥
বাংলা কবিতার ভাণ্ডার আখতারুজ্জামান আজাদ,আবুল হাসান,আল মাহমুদ,আহসান হাবীব,কাজী নজরুল ইসলাম,জীবনানন্দ দাস,দেবাশিষ চৌধুরী,নির্মলেন্দু গুণ.বন্দে আলী মিঞা,মাইকেল মধুসূদন দত্ত,রফিক আজাদ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শামসুর রাহমান,সুকান্ত ভট্টাচার্য,সুকুমার চৌধুরী,হুমায়ুন আজাদ,হেলাল হাফিজ